ঘোরাঘুরি কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে
যাওয়া মানুষের চিরন্তন নেশা। এ বিশ্বে দেখার কোনো শেষও নেই আসলে। পুরো
বিশ্ব ঘুরেও মনে হয়, “ইসস, এখনও কতো কিছু দেখার বাকী!” আসুন, দেখে আসি
পৃথিবীর সেইসব দূর্গম এলাকাগুলো যেখানে যাওয়া যায় না কিন্তু তার
নৈঃসর্গিক সৌন্দর্য আপনাকে প্রবলভাবে টানবে।
ক্রাইস্ট অফ দ্যা অ্যাবিস, সান ফ্রুত্তোসো, ইতালিঃ
এটা পানিতে ডুবে থাকা যীশুর ব্রোঞ্জমূর্তি। সারাবিশ্বে এই একই ধাঁচের
মূর্তি থাকলে আসলটা স্থাপিত সান ফ্রুত্তোসোর নিকটবর্তী ভূমধ্যসাগরে,
ক্যামোগ্লি আর পোর্টোফিনোর মাঝখানে। আড়াই মিটার লম্বা মূর্তিটি ১৯৫৪ সালের
২২ আগস্ট স্থাপিত করা হয়েছিল সাগরজলের ১৭ মিটার গভীরে। অবশ্য ২০০৩ সালে
মুর্তিটি’র কিছু ক্ষতিসাধন হয়, কিন্তু ২০০৪ সালেই সেটি আবার পুনঃনির্মান
করা হয়। আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন
উইকিপিডিয়া।
কোলম্যানস্কোপ, নামিব মরুভূমি
দক্ষিণ নামিবিয়ার বন্দরনগরী ল্যুডেরিটজ থেকে কিছু কিলোমিটারের দূরত্বে
নামিব মরুভূমিতে এক পরিত্যক্ত শহর হল কোলম্যানস্কপ। এই শহরের নাম রাখা
হয়েছিল পরিবহনের কাজে থাকা চালক জনি কোলম্যানের নামে যিনি এক মরুঝড়ের কবলে
পড়ে এই শহরের বিপরীতেই এক ছোট টিলায় নিজের গরুর গাড়ি পরিত্যক্ত করেছিলেন।
একসময়কার ছোট কিন্তু জমজমাট শহরটি এখন ভ্রমণার্থীদের কাছে ভ্রমণের জায়গা
হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।
বিস্তারিত পড়তে উইকিপিডিয়া।
ডোম হাউজেস, দক্ষিণপশ্চিম ফ্লোরিডাঃ
১৯৮১ সালে ফ্লোরিডার নেপলস শহরে বানানো এই অভিনব ঘরগুলো হয়তো আর বেশি
দিন টিকবেনা মেরামতের অভাবে। একটি ডোমের মালিক মেরামতের চেষ্টা করলেও তাকে
পড়তে হয়েছে নানা রকমের জরিমানা আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পাল্লায়।
বিস্তারিত এখানে।
ক্র্যাকো, ইতালিঃ
ব্যাসিলিকাটায় অবস্থিত মধ্যযূগের পরিত্যক্ত একটি গ্রাম। ঢেউখেলানো আকৃতির পাহাড়ী এই গ্রামটির চারপাশ পরিবৃত গমক্ষেত দিয়ে।
বিস্তারিত উইকিপিডিয়া।
বোডিয়াম ক্যাসল, ইস্ট সাসেক্স, ইংল্যান্ডঃ
এটি ইংল্যান্ডের ইস্ট সাসেক্সের রবার্টসব্রিজের কাছে অবস্থিত চতুর্দশ
শতকের একটি দূর্গ। ১৩৮৫ সালে শতবর্ষীয় লড়াইয়ের সময় ফরাসীদের আক্রমণ প্রতিহত
করতে রাজা ২য় রিচার্ডের অনুমতিতে স্যার এডওয়ার্ড ড্যালিনগ্রিজ দূর্গটি
স্থাপনা করেন। এর গঠন আর কৃত্রিম জলাধারের মাঝে এর স্থাপনা এটি নির্দেশ করে
যে প্রতিরক্ষার পাশাপাশি নান্দনিক সৌন্দর্যও দূর্গটির নির্মাণের ক্ষেত্রে
মাথায় রাখা হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে উইকি।
অ্যাঙ্কর ওয়াট, কম্বোডিয়াঃ
এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির আর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় স্থাপনা।
দ্বাদশ শতকের শুরুতে তৎকালীন যশোধারাপুরে (বর্তমান অ্যাঙ্কর) খেমার রাজা ২য়
সূর্যবর্মন এটি স্থাপিত করেন। শিব উপাসনার প্রথা ভেঙ্গে অ্যাঙ্কর ওয়াট
উৎসর্গ করা হয়েছিল বিষ্ণুকে। প্রথমে হিন্দু ও পরে বৌদ্ধদের ধর্মীয়
উপাসনালয়রুপে এটি নিজের গুরুত্ব ধরে রেখেছিল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। আদি
খেমার স্থাপত্যকলার অন্যতম সেরা নিদর্শন এটি। কম্বোডিয়ার প্রতীকে পরিণত
হয়েছে এটি, জায়গা পেয়েছে সে দেশের জাতীয় পতাকায়, হয়ে উঠেছে দেশটিতে
ভ্রমণার্থীদের প্রধান আকর্ষণ।
বিস্তারিত পড়ুন উইকিপিডিয়াতে।
ফিশিং হাট, জার্মানী
এটি জার্মানীর বারচেসগার্ডেন জাতীয় উদ্যানের একটি মাছ ধরার লেক।
No comments:
Post a Comment