auto scrolling

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks
Blogger Widgets Blogspot Tutorial

Saturday, November 9, 2013

বিশ্বের কয়েকটি বিস্ময়কর টেক স্থাপনা যা সপ্তাশ্চর্য্যের চেয়ে কম নয়!!

চীনের মহাপ্রাচীর কিংবা তাজমহলের কথা বিশ্বের সব মানুষই জানে। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব। আর এই তথ্য প্রযুক্তি যেসব কোম্পানীর মাধ্যমে এতো ব্যাপকতা লাভ করেছে তার মধ্যে কয়েকটি বিস্ময়কর স্থাপনার কথা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।

Atlantis_hi_tech_icn

GooglePlex

Google_Campus2_cropped
যদি কল্পনা করা যায়, তবে সে কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেয়া যায় এই ধারণা থেকে গড়ে উঠেছে গুগল প্লেক্স! এটি ২০টি বিল্ডিং ঘিরে বানানো হয়েছে! ২ মিলিয়ন স্কয়ার ফিট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে গুগল অফিস! ১৯৯৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যাত্রা শুরু করা গুগল ২০০৬ সালে ৩১৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে সিলিকন ভ্যালীতে জায়গা কিনে নেয়! পুরো গুগল প্লেক্স জুড়ে রয়েছে ১৮টি ক্যাফেটেরিয়া যেখানে খাবার পুরোপুরি ফ্রী! শুধু তাই নয়, পুরো আমেরিকার ভেতর গুগল সবচেয়ে বেশী ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করে যার বেশীরভাগই গুগলের নিজস্ব সোলার প্যানেল থেকে চাহিদা পূরণ করা হয়। প্রায় ১৩ হাজার এমপ্লয়ী এখানে একসাথে কাজ করেন!

Apple’s Headquarters

apple1
2.8 মিলিয়ন জায়গা জুড়ে তৈরি হবে অ্যাপলের এই হেডকোয়ার্টার। এখানে প্রায় ১৪ হাজার এমপ্লয়ী একসাথে কাজ করবেন বলে জানা গেছে! থাকবে ১০, ৯৮০ টি পার্কিং জায়গা। এটি নির্মাণের বাজেট ধরা হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার! তবে ধারণা করা হচ্ছে ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে যাবে!

levi’s stadium

49ers-Stadium-Footbal_Horo
এই স্টেডিয়ামে সিট সংখ্যা ৬৮, ৫০০, তবে এটি প্রয়োজনে ৭৫, ০০০ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে! এটি বানাতে খরচ পড়ছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার!

Apple Strore

thirdstreetpromenade_hero
এটি একটি গ্লাস কিউব যাতে শুধুমাত্র অ্যাপলের লোগো রয়েছে! এটি বানাতে খরচ পড়েছে প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার! ১৮, ০০০ স্কয়ার ফিটের এই ষ্টোরে ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে চারিদিকে কাঁচে ঢাকা এলিভেটরে করে প্রবেশ করতে হবে। এটি ফটোগ্রাফারদের জন্য খুব প্রিয় জায়গা!

Industrial Light & Magic Data Center

0613_google-data-center
এটি আসলে মুভি রাখা এবং বিভিন্ন স্পেশাল ইফেক্ট সম্পন্ন মুভি বানানোর ডাটা সেন্টার। Iron man, Pirates of the carribean ইত্যাদি বিখ্যাত মুভিগুলোর স্পেশাল ইফেক্ট এখান থেকে নির্মাণ হয়েছে। ১৩, ৫০০ স্কয়ার ফিট জায়গা নিয়ে তৈরি এই ডাটা সেন্টারে ১৭৮ টেরাবাইট স্টোরেজ! ৬০০ মাইল জুড়ে রয়েছে নেটওয়ার্ক ক্যাবল!

Facebook Hradquarters

dezeen_Frank-Gehry-designs-new-Facebook-headquarters-2_1000
৪০, ০০০ স্কয়ার মিটার জুড়ে তৈরি হবে ফেসবুকের এই হেডকোয়ার্টার। ২, ৮০০ ইঞ্জিনিয়ার একই রুমে কাজ করতে পারবেন! সবকটি বিল্ডিংয়ের ছাদেই থাকবে বাগান যা জায়গাটির আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেবে।

GRE&GMAT for higher studies( বিদেশে উচ্চশিক্ষায় জিম্যাট জিআরই)

http://bdlive24.com/uploads/news/full_685870291_1383810514.jpg
 মানসম্মত পড়াশোনা, প্রচুর বিষয়ে পড়ার সুযোগ, ফান্ডিংয়ের সহজলভ্যতা, জীবনমান সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় বেশ এগিয়ে থাকে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় বাধা মনে হয় জিআরই বা জিম্যাট পরীক্ষা। তবে এ পরীক্ষায় ভালো স্কোর করতে পারলে ভর্তির নিশ্চয়তা তো থাকেই, অনেক ক্ষেত্রে ফান্ডিং পাওয়াও সহজ হয়ে যায়। জেনে নিন এর খুঁটিনাটি।

জিআরই বা জিম্যাট দুটো পরীক্ষাই স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য প্রযোজ্য। এর যেকোনো একটিতে বসতে হবে আপনাকে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়ে পড়তে চান, জেনে নিন সেখানে ভর্তির যোগ্যতা কী। সাধারণত বাণিজ্যের বিষয়গুলোতে পড়তে চাইলে জিম্যাট স্কোর প্রয়োজন হয়। আর মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে লাগে জিআরই স্কোর। দুটো পরীক্ষাতে বসার আগেই নিবন্ধন করে নেওয়া প্রয়োজন।

জিআরই(GRE):

গ্র্যাজুয়েট রেকর্ডস এক্সামিনেশনস বা জিআরই হলো কম্পিউটার অ্যাডাপটিভ পরীক্ষা অর্থাৎ কম্পিউটারে বসেই পরীক্ষা দিতে হবে। ২০১১ সালে এই পরীক্ষাপদ্ধতিতে কিছু বদল আনা হয়েছে। যেমন এখন থেকে এতে কোনো প্রশ্ন বাদ দিয়ে পরের প্রশ্নে এগিয়ে যাওয়া যাবে, পরে সময় থাকলে আবার সেই প্রশ্নে ফিরে আসা যাবে। পুরো পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। এতে ছয়টি বিভাগ থাকে। প্রতি বিভাগের পর এক মিনিট বিরতি দেওয়া হবে। দুটি ভারবাল রিজনিং, দুটি কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং, একটি পরীক্ষামূলক বা গবেষণামূলক এবং একটি লিখিত অংশ।

লিখিত পরীক্ষা: জিআরইর শুরুতেই থাকে লিখিত পরীক্ষা। কম্পিউটারেই লিখে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে দুটি এসে লিখতে হবে ইস্যু টাস্ক ও আর্গুমেন্ট টাস্ক। কোনো বিষয়ে একটি বা দুটি প্যারা তুলে দেওয়া হতে পারে। এর সঙ্গে আপনি একমত বা ভিন্নমত পোষণ করেন কি না তা লিখতে হবে, এর পাশাপাশি আপনার পক্ষে যুক্তিও দেখাতে হবে। আর্গুমেন্ট টাস্কেও একটি বক্তব্য তুলে ধরা হবে। আপনাকে যুক্তি দিয়ে বলতে হবে এই বক্তব্যে কী কী বিষয় ধরে নেওয়া হয়েছে (অ্যাজাম্পশনস)। শূন্য থেকে ছয়-এর মধ্যে স্কোর দেওয়া হবে। জিআরই প্রস্তুতিবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি এ ধরনের প্রশ্ন ও উত্তর দেখতে পাবেন। কেমন উত্তরে কেমন স্কোর দেওয়া হয়েছে তাও দেখতে পাবেন। তা থেকে আপনি নিজে প্রস্তুতি নিতে পারেন। এই পরীক্ষায় আপনি কোনো স্পেল চেকারের সাহায্য নিতে পারবেন না।

ভারবাল রিজনিং: প্রতিটি ভারবাল অংশে ত্রিশ মিনিটে ২০টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সাধারণত চারটি বা পাঁচটি উত্তর দেওয়া থাকবে, সঠিকটি বেছে নিতে হবে। শূন্যস্থান পূরণ, বাক্য সম্পূর্ণ করা, রিডিং কমপ্রিহেনশন ইত্যাদি ধরনের প্রশ্ন থাকবে। একটি প্রশ্নের একাধিক উত্তর হতে পারে, উত্তরপত্রে দুটোই উল্লেখ করতে হবে, আংশিক উত্তরে কোনো নম্বর পাওয়া যাবে না।

কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং: ৩৫ মিনিটে ২০টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে প্রতি অংশে। সাধারণ গাণিতিক হিসাব, বীজগণিত, জ্যামিতির নানা প্রশ্ন থাকবে।

অন্যান্য: গবেষণা বা পরীক্ষামূলক অংশটি ভারবাল বা কোয়ান্টিটেটিভ হতে পারে। এর স্কোর মূল পরীক্ষায় যোগ হবে না। তবে পরীক্ষার্থীদের জানানো হবে না কোনটি গবেষণা বা পরীক্ষামূলক অংশ। ফলে সব অংশেই সমান মনোযোগ দিতে হবে।

স্কোর: ভারবাল ও কোয়ান্টিটেটিভ দুটি অংশেই ১৩০ থেকে ১৭০-এর মধ্যে স্কোর দেওয়া হয়।

জিম্যাট

গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট বা জিম্যাটে মোট তিন ঘণ্টা ত্রিশ মিনিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং ত্রিশ মিনিট, ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং ৩০ মিনিট, কোয়ান্টিটেটিভ ৭৫ মিনিট, ভারবাল ৭৫ মিনিট।

অ্যানালাইটিক্যাল: এ অংশে ত্রিশ মিনিটে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একটি বক্তব্য তুলে দেওয়া হবে। এর বিশ্লেষণ করতে হবে। এক থেকে ছয়-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হবে।

ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং: গ্রাফিকস, টেক্সট, চার্ট ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ১২টি প্রশ্ন থাকবে।

কোয়ান্টিটেটিভ: সাধারণ গণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি থেকে ৩৭টি প্রশ্ন থাকবে।

ভারবাল: রিডিং কমপ্রিহেনশন, বক্তব্য বিশ্লেষণ ইত্যাদি থেকে ৩৭টি প্রশ্ন থাকবে।

প্রস্তুতি: এই পরীক্ষাগুলোর প্রস্তুতির জন্য বাজারে নানা বই কিনতে পাবেন। ব্যারনস, কাপলান, প্রিন্সটন ইত্যাদি বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন। এ ছাড়া ঢাকার আমেরিকান সেন্টার এবং ইএমকে সেন্টার থেকে নিবন্ধন, ফি, পরীক্ষা প্রস্তুতি ইত্যাদি ব্যাপারে সাহায্য পাবেন। ফোন: আমেরিকান সেন্টার: (৮৮০) (২) ৮৮৫-৫৫০০ বর্ধিত ২৮৩২

ইএমকে সেন্টার: ৮৮ (০২) ৯১১৯৭৫২

Friday, November 8, 2013

উইন্ডোজ ৮.১ রিভিউঃ নতুন পথে জানালা

উইন্ডোজ ৮ রিলিজ পাওয়ার পর থেকেই একে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওঠাটাই স্বাভাবিক, কারণ উইন্ডোজ ৮ এর প্রকাশের মাধ্যমেই মুলত প্রচলিত ইউজার ইন্টারফেস থেকে টাচ বেজড ইউজার ইন্টারফেসের দিকে তাদের প্রথম পদক্ষেপটি বাড়ায়। উইন্ডোজ ৮ এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের এতদিনের পরিচিত ফর্ম-ফ্যাক্টর গুলো যে অচিরেই টাচ বেজড ডিভাইস গুলোকে জায়গা করে দিবে তা উপলদ্ধি করতে শুরু করি।
আগেই বলা হয়েছে উইন্ডোজ ৮ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর নতুন যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ, তাই প্রথম পদক্ষেপ পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত না হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু উইন্ডোজ ৮ প্রমাণ করেছে সে তার প্রথম পদক্ষেপটি ফেলেছিল প্রায় ৮০% সঠিক। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকে সবসময়ই ১০০% পাওয়ার, অন্তত মাইক্রোসফটের মত একটা কম্পানির নিকট আমাদের প্রত্যাশার পারদ একটু চড়াই থাকে।
প্রতি উইন্ডোজের রিলিজের পরই মাইক্রোসফট গ্রাহকদের চাওয়া ও অসুবিধার তথ্য সংগ্রহ করে মাইক্রোসফট। সেই ফিচার গুলো যোগ আর অসুবিধাগুলোর বিয়োগ ঘটে সাধারণত পরবর্তী উইন্ডোজ রিলিজে।তাই উইন্ডোজ ৮ এর রিলিজের পরই গ্রাহকরা মাইক্রোসফটের নিকট জানায় তাদের প্রত্যাশার কথা। সে সকল প্রত্যাশা আর মাইক্রোসফটের ভবিষ্যত পরিকল্পনার মিশেলেই এসে গেল উইন্ডোজ ৮.১।

গত ১৮ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী রিলিজ পেয়েছে উইন্ডোজ ৮.১, বর্তমান সকল উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ আরটি গ্রাহকগণ উইন্ডোজ অ্যাপ স্টোর এর মাধ্যমে বিনামূল্যে উইন্ডোজ ৮.১ এ আপগ্রেড করতে পারবেন। এছাড়া একই দিন থেকে বিশ্বের সকল অনলাইন স্টোর এবং রিটেইলারের নিকটও এটি পাওয়া যাচ্ছে।
চলুন তাহলে আর দেরী না করে ঝাঁপ দেই রিভিউ এর দুনিয়ায় এবং জেনে নেই কি নতুনত্ব আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে !

ইন্সটলেশন এবং ওওবিইঃ

উইন্ডোজ ৮.১ এ ইন্সটলেশন ইন্টারফেস পুরোপুরি উইন্ডোজ ৮ এর মতই আছে। আমি প্রথমবার বেশ একটা ধাক্কাই খেয়েছিলাম যখন দেখলাম বুট লোগো পুরোনো এবং ইন্সটলার উইন্ডো তে উইন্ডোজ ৮ এর লোগো! পরে অবশ্য লাইসেন্স এ ৮.১ দেখে নিশ্চিত হয়েছিলাম আমি ভুলে উইন্ডোজ ৮ বুট করিনি।

স্টার্টস্ক্রিনঃ

প্রথম দেখায় যে জিনিসটা আপনার চোখে পড়বে তা হল স্টার্ট স্ক্রিনের আরো নতুন নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড এবং কালার অপশন। এখন পিসি সেটিংস এ না গিয়েই আপনি চার্ম বারের সাহায্যে খুব সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করতে পারবেন।
আর একটি নতুন সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার ডেস্কটপ ওয়ালপেপার কেই স্টার্ট স্ক্রিন ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে সেট করতে পারবেন।
আরেকটি নতুন সুবিধা যেটি উইন্ডোজ ফোন ৮ এ প্রথম দেখা গিয়েছিল তা হল চার আকারের টাইলস সুবিধা। এখন আপনি রিসাইজ্যাবল টাইলস গুলো Large, Wide, Medium ও Small এই চারটি আকারে পরবর্তন করতে পারবেন।
অন্য যে দিকটা ভাল লেগেছে তা হল এখন আর আগের মত কোন ডেস্কটপ অ্যাপ ইন্সটল করা মাত্র তার টাইল স্টার্টস্ক্রিণে পিনড হয়না। ফলে আপনার স্টার্টস্ক্রিণ কয়েকদিন ব্যবহারের পরও আর জঞ্জালে পরিপুর্ণ মনে হবেনা।
একটি নতুন বাটন যুক্ত হয়েছে স্টার্টস্ক্রিণের বাম পাশের নিচের দিকে যার সাহায্যে আপনি সহজেই All Apps পেজে যেতে পারবেন। All Apps পেজে আপনার পিসিতে ইন্সটলকৃত সকল মর্ডার্ণ এবং ডেস্কটপ অ্যাপস দেখতে পারবেন। তাই টাইল স্টার্টস্ক্রিণে যুক্ত না হলেও অ্যাপগুলো আপনি অ্যাক্সেস করতে পারবেন সহজেই।

ডেস্কটপঃ

মাইক্রোসফট গত কয়েক উইন্ডোজ রিলিজ ধরে ডেস্কটপ ইন্টারফেস পরিবর্তনে এক প্রকার অনীহাই দেখাচ্ছে। এর ব্যতীক্রম এবার ঘটেনি। তাই প্রথম বুটের পর আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে সেই ভিস্তা যুগের ডেস্কটপ ইন্টারফেসই।
ডিফল্ট ওয়ালপেপার হিসেবে আছে একটি হলুদ রাঙ্গা ওয়ালপেপার। এক্ষেত্রেও উইন্ডোজ ৮ এর ডিফল্ট ওয়ালপেপারে যেমন অনেক কিছুই লুকায়িত ছিল, উইন্ডোজ ৮.১ এ তেমন কিছু নেই।
যারা উইন্ডোজ ৮ যারা ব্যবহার করছেন কিন্তু উইন্ডোজ ৮.১ প্রিভিউ ব্যবহার করেননি কিংবা খবর ও দেখেননি তাদের চোখ নিশ্চয়ই আটকে গেছে উপরের ছবিটার নিচের সর্ব বামের কোণায়। হ্যাঁ, ভুল দেখছেন না মাইক্রোসফট স্টার্ট বাটনের প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে এই রিলিজে। তবে তার কাজ এখন ডেস্কটপ আর স্টার্টস্ক্রিনের মধ্যকার সুইচার হিসেবেই সীমাবদ্ধ। তবুও অনেক ইউজার কে অন্তত চোখের শান্তি দেবে স্টার্ট বাটনের আগমন।
স্টার্টবাটনের মাধ্যমে স্টার্টমেনুর আগমন না ঘটলেও এতে রাইট ক্লিক করলে নতুন একটি মেনু আসবে যাতে রয়েছে দরকারী অনেক শর্টকাট। উইন্ডোজ ৮ এও এটি রয়েছে কিন্তু শাট ডাউন মেনুটি নতুন সংযোজন। এছাড়া Windows Key + X চেপেও মেনুটি অ্যাক্সেস করা যায়।
মর্ডার্ন ইউআই একটি সম্ভাবনাময় ইন্টারফেস হলেও অনেকেই এখনো এর সাথে তেমন অভ্যস্ত হতে পারিনি। তাই অনেকেই উইন্ডোজ ৮ এ থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করে সরাসরি ডেস্কটপে বুট করতেন। তাদের কথা চিন্তা করে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮.১ এ সরাসরি ডেস্কটপে বুট করার সুবিধা যোগ করেছে।

ডেস্কটপ ফাইল ম্যানেজারঃ

উইন্ডোজের অন্যতম বড় আকর্ষণীয় দিক ফাইল ম্যানেজার বা এক্সপ্লোরার। উইন্ডোজ ৮ এর থেকে তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি এই দিকটায়। পরিবর্তনের মধ্যে সবচেয়ে বড় এর নাম, এখন এক্সপ্লোরার পরিচিতি পাবে This PC নামে। নামেই বুঝা যাচ্ছে আপনার পিসির প্রায় সবকিছুই পরিচালনা করতে পারবেন এর মাধ্যমে। ডিস্ক ড্রাইভ থেকে শুরু করে স্কাই ড্রাইভ সবই ম্যানেজ করতে পারবেন এখান থেকে।
এখানেও রয়েছে আরেকটি প্রত্যাবর্তন, এখানে আপনার পার্সনাল ফোল্ডার যেমন ডকুমেন্টস, ডাউনলোডস ইত্যাদি অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এই ফিচারটি উইন্ডোজ এক্সপি তে থাকলেও পরবর্তি রিলিজ গুলোতে ছিল না। অবশ্য কার যদি পছন্দ না হলে রিমুভও করতে পারবেন সহজেই।

সেটিংসঃ

সময়ের সাথে মাইক্রোসফট চাচ্ছে উইন্ডোজের সব কিছুই মর্ডার্ন ইন্টারফেসের আওতায় আনতে। তারই ধারাবাহিকতায় এখন আপনি পিসি সেটিংস থেকেই আরো ডিপ লেভেল সেটিংসও দেখতে ও পরিবর্তন করতে পারবেন।

স্টোরঃ

বর্তমানে উইন্ডোজের প্রতিদ্বন্দ্বী শুধু ম্যাক কিংবা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমেই সীমাবদ্ধ নয়, উইন্ডোজ ৮ এর রিলিজের পর থেকে মাইক্রোসফট ট্যাবলেট বাজারকে তার হাতের মুঠোয় নেয়ার চেষ্টা করছে। একাজে মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় বাধা অ্যাপল এর আইওএস এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। বর্তমান ট্যাবলেট বাজারের প্রায় পুরোটাই এই দুই জায়ান্টের দখলে এবং এই দখলদারীত্বের যেটি সবচেয়ে বড় নিয়ামক তা হচ্ছে অ্যাপস।
অপারেটিং সিস্টেমে যত বেশী অ্যাপস তার গ্রাহকপ্রিয়তা তত বেশী, বর্তমান বাজারে এরকম চলই লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই দুই ঘোড়ার দৌরে মাইক্রোসফট তৃতীয় ঘোড়া হিসেবে জায়গা করে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ডেভেলপারদের। কারণ তারাই পারে কোয়ালিটি অ্যাপস তৈরি করে গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে। তাই উইন্ডোজ ৮.১ এ ডেভেলপারদের জন্য বাড়তি সুবিধার পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্যও এসেছে অনেক পরিবর্তন।
উইন্ডোজ ৮.১ এ স্টোরের ইন্টারফেসে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ইন্টারফেসটি এখন আগের চাইতে অনেক গোছানো এবং আকর্ষণীয়।
উইন্ডোজ এর মর্ডার্ণ অ্যাপের সংখ্যা প্রথম থেকেই বেশ ভালভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার পাশাপাশি এখনকার ট্যাবলেট মার্কেটের অনেক জনপ্রিয় টাইটেলও এখন খুজে পাবেন উইন্ডোজ স্টোরে।
স্টোরের আরেকটি নতুন সুবিধা অটো অ্যাপ আপডেট। এখন আর স্টোর থেকে নামানো অ্যাপ গুলো ম্যানুয়ালি আপডেট করতে হবেনা, অটো আপডেট অন করে নিলে স্টোর নিজে থেকেই অ্যাপ গুলো আপডেট করে নেবে।

ইউনিফাইড সার্চঃ

উইন্ডোজ ৮.১ এর আরেকটি দারুণ ফিচার ইউনিফাইড সার্চ। অর্থাৎ এখন থেকে উইন্ডোজ ৮.১ এর চার্মবার থেকে একাধারে আপনি কম্পিউটারের সকল অ্যাপ, ফাইল ও ওয়েব সার্চ করতে পারবেন। যারা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করেছেন তারা গুগল নাউ এর মিল পাবেন নতুন এই ফিচারটির সাথে।
বিশেষ ক্ষেত্রে আপনার সার্চ রেজাল্ট প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সহ এরকম সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হবে।

উন্নত মাল্টিটাস্কিং:

উইন্ডোজ ৮.১ এসেছে আরো উন্নত মাল্টিটাস্কিং সুবিধা নিয়ে। নতুন স্ন্যাপ এর মাধ্যমে আপনি একত্রে একসঙ্গে চারটি পর্যন্ত অ্যাপ স্ন্যাপ করতে পারবেন অর্থাৎ পাশাপাশি চালাতে পারবেন।
এই ফিচারটি অ্যাপ ও স্ক্রিন রেজ্যুলেশনের ওপর নির্ভরশীল বলে স্ন্যাপ করা অ্যাপের সংখ্যা বিভিন্ন হতে পারে।

ভাষা ও বাংলাঃ

মাইক্রোসফট মাল্টিল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্টকে উইন্ডোজ ৮ এ বেশ গুরুত্বের সাথেই নিয়েছিল যার ধারা এখনো অব্যাহত আছে। উইন্ডোজ ৮.১ অনেক গুলো নতুন ভাষার সাপোর্ট যুক্ত করেছে।
উইন্ডোজ ৮.১ এর পিসি সেটিংস থেকে সহজেই বাংলাকে আপনার প্রাইমারী বা প্রধান ভাষা হিসেবে সিলেক্ট করতে পারবেন। ফলে কিবোর্ড এ লেখার সময় ডিফল্ট হিসেবে সিলেক্টেড থাকবে বাংলা। আপনি সহজেই Windows Key + Space চেপে আপনার সিলেক্ট করা ভাষা গুলোর মধ্যে পরিবর্তন করতে পারবেন।
তবে এখনো একটি অপুর্ণতা রয়েই গেছে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮.১ এও কোন বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাক রিলিজ করেনি। আমাদের অনুরোধ থাকবে একুশে ফেব্রুয়ারীর জন্মভূমির মাতৃভাষা, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ভাষা বাংলার যেন একটি ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাক রিলিজ করা হয়।

মিউজিক ও ভিডিওঃ

উইন্ডোজ ৮.১ এর মর্ডার্ন মিউজিক প্লেয়ারে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। এটি এখন থেকে পরিচিতি পাবে এক্সবক্স মিউজিক নামে। নামের সাথে এর ইন্টারফেসেও এসেছে অনেক পরিবর্তন।
নতুন মিউজিক অ্যাপটি সিম্পল ডিজাইনের কিন্তু খুবই আকর্ষণীয়। আগের মিউজিক প্লেয়ারটি অ্যালবাম আর্ট লোড করতে গেলেই অ্যাপটি অনেক ল্যাগ করত। কিন্তু নতুন প্লেয়ারটি বেশ ফাস্ট এবং ফ্লুইড যা আপনাকে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার চালু করা থেকে বিরত রাখতে যথেষ্ট।
উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের মতই বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে গান গুলো সর্ট করার সুবিধা আছে এতে।
মিউজিক প্লেয়ারের ইন্টারফেসে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হলেও ভিডিও প্লেয়ারের ইন্টারফেসটি তেমন পরিবর্তন করা হয়নি। তবে ইন্টারফেসের তেমন পরিবর্তন না হলেও পার্ফর্মেন্স উইন্ডোজ ৮ এর চাইতে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং মেসেঞ্জিং:

বর্তমান সময়টাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর। তাই এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই উইন্ডোজ ৮.১ ও। উইন্ডোজ ৮.১ এ প্রিইন্সটলড হিসেবে রয়েছে Peoples অ্যাপ যার মাধ্যমে আপনি টুইটার, ফেসবুকের মত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে যুক্ত থাকতে পারবেন।
এছাড়া পিছিয়ে নেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর অফিসিয়াল অ্যাপ সমুহও। উইন্ডোজ ৮.১ এর রিলিজের দিন বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ রিলিজ পেয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোড়ন তুলেছে ফেসবুকের অফিসিয়াল অ্যাপটি। ইউনিফাইড সার্চ, স্ন্যাপ ভিউ এর সকল সুবিধা নিয়ে তৈরি করা অ্যাপটি স্টোরে বিনামুল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
উইন্ডোজ ৮.১ আরেকটি প্রশংসনীয় সংযোজন, স্কাইপে অ্যাপ। উইন্ডোজ ৮ এর মেসেঞ্জিং অ্যাপটির বদলে এখন থেকে স্কাইপ উইন্ডোজ ৮.১ এর প্রধান মেসেঞ্জার হিসেবে থাকবে। স্কাইপের ব্যাপারে নতুন কিছু বলার নেই, অ্যাপটিতে স্কাইপের সকল সুবিধাই পাওয়া যাবে হাতের নাগালে।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারঃ

উইন্ডোজ ৮.১ এর সাথে প্রি ইন্সটলড রয়েছে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ ইন্টারনেট ব্রাউজার, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১; বর্তমানে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার তার বাজারের বেশ বড় অংশই হারিয়েছে ক্রোম ও ফায়ারফক্সের কাছে। তাই মাইক্রোসফট বেশ জোরেশোরেই নেমেছে হারানো রাজত্ব উদ্ধার করতে। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ এর মেট্রো ইন্টারফেসের কিছু পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, এখন আপনি সহজেই অ্যাড্রেসবার কে স্থায়ীভাবে ভিসিবল করে রাখতে পারবেন। আরো কিছু ছোট পরিবর্তনের সাথে ইঞ্জিনের ব্যাপক পরিবর্তন পার্ফর্মেন্স অনেকাংশেই বৃদ্ধি করেছে।

হেল্প এবং টিপসঃ

উইন্ডোজ ৮ এ অনেক নতুন জেটসার ও নতুন কন্ট্রোল নিয়ে আসে। বেশিরভাগ নতুন ইউজারদের এসকল নতুন ফিচার গুলোর সাথে মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হয়েছে। তাই নতুন ফিচার গুলোর সাথে ইউজারদের পরিচিত করতেই উইন্ডোজ ৮.১ দেয়া আছে Help+Tips নামে একটি অ্যাপ। এর মাধ্যমে সহজেই একজন ইউজার উইন্ডোজ ৮.১ এর নতুন ফিচার গুলোর সাথে পরিচিত হতে পারবেন।

কিভাবে আপগ্রেড করবেনঃ

যারা উইন্ডোজ ৮ ব্যবহার করছেন তারা বিনামুল্যে উইন্ডোজ ৮.১ এ আপগ্রেড করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে উইন্ডোজ স্টোর এর মাধ্যমে আপগ্রেড করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি DreamSpark বা MSDN/TECHNET এর সদস্য হয়ে থাকেন, তবে আপনি ISO ইমেজ ডাউনলোড করেও আপগ্রেড করতে পারেন বা ক্লিন ইন্সটল করতে পারেন।

এখন প্রশ্ন হল, আপনি কি উইন্ডোজ ৮.১ আপগ্রেড করবেন?

আপনি যদি উইন্ডোজ ৮ এর ইউজার হয়ে থাকেন তবে উত্তর হবে, হ্যাঁ, অবশ্যই। উইন্ডোজ ৮ এর থেকে ৮.১ এ আপগ্রেড না করার কোনো উপাদান ই উপস্থিত নেই ৮.১ এ। কারণ উইন্ডোজ ৮ থেকে ৮.১ সব দিক থেকেই অনেক উন্নত, আরো পরিণত।
আপনি যদি উইন্ডোজ ৭ এ থাকেন, উইন্ডোজ ৮ স্কিপ করে, আমি বলব এবার সময় হয়েছে নতুন কিছু ট্রাই করার। উইন্ডোজ ৮ এর সম্পর্কে যেসকল দুর্নাম আপনি হয়ত শুনেছেন তার অনেকাংশই ৮.১ এ অনুপস্থিত। তাই আমি মনে করি না ৮.১ আপনার কর্মদক্ষতাকে বাড়ানো ছাড়া কমিয়ে দেবে। উইন্ডোজ এক্সপি ইউজারদের প্রতি কিছু বলার মত ভাষা অবশ্য আমার অভিধানে নেই।
অনেকেই হয়ত এতক্ষন পড়ে বুঝে গেছেন উইন্ডোজ এর নতুন আপগ্রেড সাইকেল এর জন্যেই পোস্টের এ টাইটেল। ট্যাবলেট মার্কেটের সাথে তাল মেলাতে এবং উইন্ডোজ ৮.১ এর সমস্যা গুলো শোধরাতে হয়ত আগামী একবছর পরেই আমরা নতুন আরেকটি আপগ্রেড পাব। ফলে দ্রুত আপডেটের কারণে উইন্ডোজ হয়ে উঠবে আরো আকর্ষণীয়।
সবমিলিয়ে বলা যায় উইন্ডোজ ৮.১ বর্তমান বাজারের ডেস্কটপ ও ট্যাবলেট ওএস গুলোর মধ্যে শক্তিশালী অবস্থানেই আছে। উইন্ডোজ ৮.১ নিয়ে মাইক্রোসফট প্রস্তত আবার বাজারকে মাত করার জন্য।

শেষ কথাঃ

উইন্ডোজ ৮ এসেছিল নতুন যুগের টাচ বেজড উইন্ডোজ ইন্টারফেসের সুচনা করতে। নতুন যুগের প্রথম পদক্ষেপ ছিল এটি। প্রথম পদক্ষেপ বলেই বেশ কিছু ফিচার ছিল অসম্পুর্ণ, কিছু পরিবর্তন ছিল ভুল। কিন্তু আশার কথা হল মাইক্রোসফট খুব দ্রুতই এসকল ত্রুটি গুলো ধরতে পেরেছে এবং মাত্র এক বছরের মধ্যেই একটি নতুন রিলিজ প্রকাশ করে তাদের ভুল গুলো শোধরানোর যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে।

সত্যিকারের ৬ মৎস্যকন্যা!

সত্যিকারের ৬ মৎস্যকন্যা!
 মৎস্যকন্যার অস্তিত্ব নিয়ে কৌতূহল, তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। এখনো এ নিয়ে চলছে গবেষণা। তবে রূপকথার জলের নিচে ঘুরে বেড়ানো রূপকথার মৎস্যকন্যা কিন্তু সত্যিই আছে! একটা না তা-ও, অনেকগুলো! বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জলের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেক মৎস্যকন্যা।

যাদের কথা বলছি তারা কেউ কেউ শৌখিন মৎস্যকন্যা, কেউ বা পেশাদার। সবাই মূলত আন্ডারওয়াটার মডেল। নতুনত্ব, অ্যাডভেঞ্চারের হাতছানি, বৈচিত্র্য- সব মিলে বর্তমানে মৎস্যকন্যা হওয়াটা শখ শুধু নয়, পেশা হিসেবেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনেকেই এখন মৎস্যকন্যা এবং আন্ডারওয়াটার মডেলিং নিয়েই ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হচ্ছেন, সফলও হয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্য থেকে ছয়জন মৎস্যকন্যার রূপকথা নিয়ে আজকের আয়োজন।
হানা ফ্রেজার
hanna

৩৭ বছর বয়সী হানার জন্ম অস্ট্রেলিয়ায় হলেও বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে। হানা একজন মৎস্যকন্যা। ছোটবেলা থেকেই তার ভালো লাগতো মৎস্যকন্যা। মৎস্যকন্যাই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান, ভালোবাসা। ৯ বছর বয়সেই টেবিল ক্লথ কেটে বানিয়ে ফেলেছিলেন মৎস্যকন্যার লেজ। বাড়ির সুইমিংপুলে কাটিয়েছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, চর্চা করেছেন পানির নিচে বেশিক্ষণ থাকার। বড় হয়েও মৎস্যকন্যার প্রতি ভালোবাসা রয়ে গেছে।

তাই পেশা হিসেবেই বেছে নিলেন মৎস্যকন্যা হওয়া। আলাদাভাবে তৈরি লেজ পরে সাগরের নিচে দিব্যি মৎস্যকন্যার মতো ঘুরে বেড়ান তিনি। আড়াই মিনিট পানির নিচে থাকতে পারেন হানা, যেতে পারেন ৪৫ ফুট পর্যন্ত গভীরে। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। আন্ডারওয়াটার মডেলিংও করেন হানা। তার স্বামী ডেভও একজন জলপ্রেমী ব্যক্তি। পেশায় সার্ফার ডেভ হানার এই অন্যরকম কাজ নিয়ে বেশ খুশি।

ইয়ারা মেন্ডিন
Iara-Mandyn

ইয়ারা মেন্ডিনও একজন পেশাদার মৎস্যকন্যা। আগে তিনি ছিলেন একজন নাচিয়ে এবং মডেল। জলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই বেছে নিয়েছেন আন্ডারওয়াটার মডেলিং ও মৎস্যকন্যার ক্যারিয়ার। একজন স্বীকৃত স্কুবা ডাইভার ও আন্ডারওয়াটার মডেল ইয়ারা। দুটি আলাদা লেজ আছে তার। পানির নিচে মডেলিং, ভিডিও এবং স্ট্যান্ট দৃশ্যে অভিনয় করেন তিনি। স্বীকৃতিস্বরূপ তার ভিডিও ‘লেডি অব দ্য লেক’ এর জন্য পেয়েছেন ওয়ার্ল্ড মারমেইড অ্যাওয়ার্ডস ২০১১ এর মোস্ট এনচ্যান্টিং মারমেইড ভিডিও অ্যাওয়ার্ড। পানির নিচে স্থিতিশীল অবস্থায় ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড এবং সাঁতার কাটা অবস্থায় ৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ড থাকতে পারেন ইয়ারা।

ক্যারিয়েল
kariel

ছোটবেলায় অডিটরি প্রসেসিং ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন ক্যারিয়েল। এই ডিসঅর্ডারের কারণে একজন মানুষ অন্যদের চেয়ে দেরিতে দেখতে এবং শুনতে পায়। স্কুলে প্রতিদিন ক্লাসের পরেও আলাদা ক্লাস করতে হতো দেখার এবং শোনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু জীবনের প্রতি কখনো বিরক্ত হননি ক্যারি। স্বপ্নপূরণ করতে এগিয়ে গেছেন পূর্ণোদ্যমে। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মৎস্যকন্যার ভক্ত। ৫ বছর বয়সে তার পরিবারের সদস্যরা বানিয়ে দিয়েছিলেন একটি লেজ। তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না ক্যারি। কীভাবে পানির নিচে ব্যবহারের উপযোগী লেজ বানানো যায়- এ নিয়ে সবসময় চিন্তা করতেন।

এখন অবশ্য তার নিজের তৈরি ৪টি লেজ আছে, যার প্রতিটি বানাতে সময় লেগেছে ৩৫০-৪০০ ঘণ্টা। নিজের তৈরি অসম্ভব সুন্দর লেজগুলো বিক্রিও করেন ক্যারিয়েল। ২০০৯ সালে অরিগন থেকে হাওয়াইয়ে চলে আসেন তিনি। এখন সেখানেই বসবাস করছেন। তিন মিনিটের বেশি সময় পানির নিচে থাকতে পারেন ক্যারি, যেতে পারেন ৫০ ফুটেরও বেশি গভীরে। ক্যারি আন্ডারওয়াটার মডেলিং ছাড়াও বিভিন্ন শো-তে পারফর্ম করেন। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন। নিজ উদ্যোগে বাচ্চাদের মধ্যে সমুদ্র সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন শো-এর আয়োজন করেন ক্যারি। সেসব শো-তে তিনি গল্পের মাধ্যমে বাচ্চাদের কাছে উপস্থাপন করেন কীভাবে আবর্জনা ফেলে মানুষ তার জলের রাজ্য নষ্ট করছে।

মাহিনা
Mahina

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন মৎস্যকন্যা মাহিনা। ছোটবেলার মৎস্যকন্যা হওয়ার স্বপ্নকে বড় হয়ে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। তিনি একজন পেশাদার মৎস্যকন্যা এবং আন্ডারওয়াটার মডেল। তবে নিজের স্বপ্ন সত্যি করার পরও মনে হলো কী একটা করা হলো না!

তারপর মনে হলো, অসংখ্য শিশু স্বপ্ন দেখে মৎস্যকন্যা হওয়ার। তাদের স্বপ্ন সত্যি করার জন্য কাজ করা উচিত। এই চিন্তা থেকেই নিজে ডিজাইন করলেন ‘মারফিন’ অর্থাৎ মৎস্যকন্যার লেজ। মাহিনা মারফিনস তৈরি হয়েছে মৎস্যকন্যা হতে আগ্রহী শিশুদের কথা মাথায় রেখেই। এখন মাহিনার কল্যাণে অনেকের স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে, হাসি ফুটছে অনেক মুখে, আর পূর্ণতা পেয়েছে মাহিনার নিজের ইচ্ছেগুলো।

স্টেলা
stella

ফ্লোরিডায় থাকেন এই মৎস্যকুমারী। পেশাদার আন্ডারওয়াটার মডেল এবং মৎস্যকন্যা তিনিও। সিলিকন দিয়ে তৈরি লেজ পরে মাছের মতোই ঘুরে বেড়ান সমুদ্রে। তার লেজটি দেখতে তিমি, ডলফিনদের মতো জলজ প্রাণীর লেজের মতো। সাগরের আবহ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলে আকর্ষণীয় মৎস্যকন্যা হওয়ার জন্য সাগরের থিমের উপর জুয়েলারি, সামুদ্রিক ঝিনুক দিয়ে তৈরি টপ, আলাদা চুল ইত্যাদি ব্যবহার করেন স্টেলা। ফ্লোরিডা ছাড়াও বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যেকোনো অনুষ্ঠানে তাকে নিয়ে যেতে পারেন আগ্রহীরা। তবে তার জন্য অর্থ গুণতে হয় একটু বেশিই। শিশুদের এবং বড়দের- সবার অনুষ্ঠানেই অংশ নেন স্টেলা।
অডেট
odeete

মৎস্যকন্যা অডেটের বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায়। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, চার বছর আগে ২০০৯ সাল থেকে তিনি ফ্যাব্রিক দিয়ে মারফিন বানানোর চেষ্টা শুরু করেন। একই সঙ্গে অভ্যাস করেন পানির নিচে থাকার, শুরু করেন আকর্ষণীয়ভাবে সাঁতার কাটার চর্চাও।

এ সবই ছিল মৎস্যকন্যা হওয়ার প্রস্তুতি। এখন অডেটের সবক`টি কাজই সাফল্য পেয়েছে। নিজের প্রচেষ্টায় তৈরি করেছেন দুটি ভীষণ সুন্দর লেজ। পানির নিচে সাঁতার কাটার ক্ষেত্রেও দক্ষতা অর্জন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে মৎস্যকন্যা হয়ে পারফর্ম করে অসংখ্য মানুষকে আনন্দ দেন অডেট।

এনিয়ে তার বক্তব্য ‘আমার কাজটিকে ভালোবাসি আমি। আমি মানুষকে আনন্দ দিই এবং তাদের স্বপ্নপূরণে উৎসাহিত করি

Adventures live on mind!!!!




“My favorite is an iPhone shot I took while on assignment for National Geographic Magazine. It’s of a fisherman in Dibi, Oman, standing on his Dhow, a traditional Omani fishing boat. It was one of my favorite cultural shots from the assignment. My assistant on the shoot almost took away my iPhone after that shot because I was shooting so much with it so I could post on Instagram that I wasn’t shooting with my “real” camera.”

Go-To Camera @jimmy_chin on Instagram
“I’ve shot with the iPhone 4s and the iPhone 5. My feed is a mix of iPhone shots and photos I’ve taken with my cameras while on shoots.”

‘I often go without filters, but have definitely used Valencia and X-Pro II a lot. It’s hard to say what is a favorite. I think it’s depends on the mood I’m in or the mood I’m trying to create.”
In this shot, pro skier Kye Peterson shreds one last sunset session

“I think photography is such an amazing creative outlet for people and it’s a ton of fun to take a few moments to find that interesting composition or angle to create an image. Looking for an image when the creative inspiration strikes is half the fun. Spontaneous moments are great too. Not to over think it too much, but pacing my posts is definitely something I think about. I never really post more than one image a day. I shoot a lot and choosing what I post is a fun part of the process as well. It’s my little creative assignment for myself everyday. I guess the ultimate goal is just to have fun with it.”

Alex Honnold: Climber

“My favorite that I posted is from our Green River trip, it’s just a picture of three of us climbing up a chimney thing while doing a first ascent. I think I even captioned it ‘my favorite photo of the trip..’ I have no idea about favorite photo I’ve seen. There’s so many.”

“I have a 4s, and I just use the normal camera. I don’t have any photo apps or anything. Half the photos I post are taken by friends anyway. We all share. I don’t really love taking pictures. I don’t like using my phone that much. So I find it easier to just beg photos of my climbing friends who are much more into the whole photo scene.”

“I normally just click my way through them until I settle on something I like. There’s no real method to it. Like I said, not huge into taking or processing photos. I just like sharing cool adventures.”
Here, Honnold rides through the eastern Sierra as professional climber and filmmaker Cedar Wright shoots.

Anson Fogel: Filmmaker

“I use a 5, and shoot mostly with the stock camera app. Occasionally I’ll use Slow Shutter, but generally, no. The best add on is the volume up button on the phone for the shutter!”

“I don’t use any stock or Instagram filters, but always treat images in Snapseed, as well as Lens Light, Cross Process, MExtures and Square Ready. ”

Renan Ozturk: Artist and Filmmaker

“I love this image because it was such a rare moment that occurred in the upper chamber of the oldest monastery in Nepal, at 13K in the Everest region. The weather had been bad for weeks the first bit of light that emerged happened to come in through the skylight and catch this lama during his blessings for our climb.”

“I’ve shot with most the 4s and 5 with no add ons.”

“I would say when editing your photos, try to stay on the conservative side and not take it too far over the top with filters and different apps. Instead, try to let beautiful natural light and authentic moments make your Instagrams special!”

“I love the ‘sienna’ filter because it does a good job of lowering contrast and bringing over-processed Instagram back down to reality.” Filter or not, we love this slacklining shot above Rio de Janeiro, Brazil.
I hope you enjoy guys! :)