বিশ্বে
সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশে৷ এই দু’টি মহাদেশে
মুঠোফোনের চলও বাড়ছে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি৷ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন
ইউনিয়নের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের অর্ধেক মোবাইল ফোন সংক্রান্ত চুক্তি
আজ স্বাক্ষরিত হচ্ছে এশিয়ায়৷ কিন্তু এশিয়া ও আফ্রিকায় ব্যবহৃত মোবাইল
ফোনগুলি স্মার্টফোন নয়, বরং পুরনো মুঠোফোন৷
ইয়ানিস
হাৎসোপুলোস একজন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার, যাঁর বাস গ্রিসের থেসালোনিকিতে৷
তিনি যে ‘ইসলামি সিম-কার্ড’-টি উদ্ভাবন করেছেন, তা স্মার্টফোন কিংবা পুরনো
মডেলের মুঠোফোন, দু’টোতেই ব্যবহার করা চলবে৷ ‘‘ব্যবহারকারী এই মুঠোফোন দিয়ে
মক্কা শরীফ কোন দিকে, তা নির্ধারণ করতে পারবেন৷ এই মুঠোফোন মুসল্লিকে দিনে
পাঁচবার নামাজ পড়ার সময় মনে করিয়ে দেবে রিংটোন বাজিয়ে৷ এমনকি নামাজ পড়ার
সময় ফোন নিজে থেকেই ‘মিউট’ হয়ে যাবে,” বলেছেন হাৎসোপুলোস৷
ধর্মপ্রাণ
মুসলমানদের জন্য মুঠোফোনে নানা ধরনের বিশেষ ‘ফাংশন’-এর ধারণাটা বিশেষ নতুন
নয়: সাধারণত সর্বাধুনিক স্মার্টফোনেই এ সব ফাংশন পাওয়া যায়৷ সে তুলনায়
ইসলামি সিম-কার্ড তথাকথিত দ্বিতীয় প্রজন্মের পুরনো মুঠোফোনেও ব্যবহার করা
চলে৷ অন্যান্য সিম-কার্ড কিংবা অ্যাপ-এর থেকে ইসলামি সিম-কার্ড এখানেই
এগিয়ে৷ আবার নামাজের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘মিউট’ হয়ে যাওয়ার বৈশিষ্টটাও
মসজিদের ইমামদের ভালো লাগার কথা, কেননা নামাজের মাঝখানে হঠাৎ ফোন বাজায়
তারাই বিরক্ত হন সবচেয়ে বেশি৷
হাৎসোপুলোসের
মাথায় ইসলামি সিম-কার্ডের ধারণাটা আসে ২০০৯ সালে, যখন তিনি স্পেনের
বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করছিলেন৷ এলজি সংস্থা সেই
কংগ্রেসে একটি মোবাইল পেশ করে, যা-তে মুসলিমদের জন্য বিশেষ ফাংশন ছিল৷ তা
থেকেই হাৎসোপুলোসের মাথায় আইডিয়া আসে: এই সব ফাংশন একটি সহজ সিম-কার্ডে
দিতে পারলে মুসলমানরা যে কোনো মুঠোফোনে সেই সিম-কার্ড ঢুকিয়ে ফোনটিকে একটি
‘ইসলামি মুঠোফোনে’ পরিণত করতে পারবেন৷
হাৎসোপুলোস
আপাতত দু’টি আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন৷ প্রথমত, রমজানের মাসে এই ইসলামি
মুঠোফোন রোজা শুরু করার এবং ইফতার করার সময় জানান দিতে পারবে রিংটোন
বাজিয়ে৷ দ্বিতীয়ত, ইসলামি সিম-কার্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলিকে
ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, ‘‘যাতে তরুণ মুসলিমদের কাছে এই বার্তা
পৌঁছে দেওয়া যায়৷
No comments:
Post a Comment