auto scrolling

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks
Blogger Widgets Blogspot Tutorial

Saturday, November 16, 2013

পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে!

1গত ১৪ নভেম্বর রাতে একটি প্রাচীন শিঙ্গা বা ভেঁপু বাজানো হয় ইংল্যান্ডের ইয়র্ক শহরে। ভাইকিংরা এযুগে বেঁচে থাকলে এই ভেঁপুর শব্দ তাদের মাঝে বিশাল এক আতঙ্ক তৈরি করতো। কারণ নর্সদের কিংবদন্তী অনুযায়ী, এই ভেঁপু বাজানোর ১০০ দিনের মাথায় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। নর্স দেবতা হেইমডেলার Gjallerhorn নামের এই পৌরাণিক ভেঁপু বাজাবেন, যা ডেকে আনবে ভাইকিংদের অন্তিম মূহুর্ত। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘Ragnarok’, যার অর্থ দেবতাদের দণ্ড বা শাস্তি। ভাইকিংরা বিশ্বাস করতো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে পর পর তিনটি ভয়াবহ শীতকাল আসবে, যাদের মাঝে কোন গ্রীষ্মকাল থাকবে না। যাবতীয় নীতিবোধ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পুরো পৃথিবীতে যুদ্ধ-বিগ্রহ ছড়িয়ে পড়বে যা থেকে সূচনা হবে পৃথিবীর অন্তিম সময়ের। স্কল নামের নেকড়ে সূর্যকে খেয়ে শেষ করে ফেলবে ও তার ভাই হ্যাটি খেয়ে ফেলবে চাঁদকে। মহাশূন্য থেকে নক্ষত্রগুলো অদৃশ্য হয়ে যাবে আর পৃথিবী নিক্ষিপ্ত হবে অতল অন্ধকারে। ভাইকিংদের নিয়ে গবেষণা করছেন এরকম কয়েকজন বিশেষজ্ঞদের গণনা করে দেখেছেন এ ঘটনাগুলো সংঘটিত হবে ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি!
পুরাণ অনুসারে এদিন দেবতা ওডিন নেকড়ে ‘ফেনরির’ ও অন্যান্য প্রধান দেবতাদের হাতে নিহত হবেন। সেদিন ভয়াবহ ভূমিকম্প হবে, সমুদ্রের পানি ফুঁসে উঠবে, মাটি ও আকাশ হয়ে যাবে বিষাক্ত। ধরা হয়, ভেঁপু বাজানোর সাথে সাথে দেবতা ওডিনের ছেলেরা যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হবে। এর কিছু পরেই ওডিন নিহত হবেন। এরপরেই পৃথিবী সাগরে ডুবে যাবে তার অন্তিম পথের উদ্দেশ্যে।
Norvik Viking Centre এর মিস ড্যানিয়েলি ডেগনাল বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনা Ragnarok কিংবদন্তীর কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমাদের মনে হয় পৃথিবীর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দিনটি আর খুব বেশি দূরে নেই।“ প্রথম ভবিষ্যৎ বাণী হচ্ছে , “মানুষে-মানুষে, ভাইয়ে-ভাইয়ে যুদ্ধ হবে। সব বাঁধা বা সীমানা ভেঙ্গে পড়বে।“ ড্যানিয়েলি বলেন, “সব বাঁধা বা সীমানা ভেঙ্গে পড়বে-কথাগুলো গুরত্বপূর্ণ। আমরা বর্তমানে এমন এক যুগে বসবাস করছি যেখানে ইন্টারনেটের কারণে এক দেশের মানুষ আরেকদেশের মানুষের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান সীমানা কোন বাঁধাই নয়। “
দ্বিতীয় ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, “পর পর তিনটি শীতকাল আসবে।“ অনেক গবেষক বলছেন, সম্প্রতি সূর্যের কাছাকাছি ঘটা সৌর ঝড়ের কারণে আমরা ছোটখাটো ধরণের বরফ যুগের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। কিংবদন্তীতে আরও বলা হয়, “Jormungand নামের একটি সাপ এর দেহ থেকে লেজকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে ও সাগরের উপরে উঠে আসবে।“ ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে দুটি বিশাল মাছ ভেসে আসে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মাছগুলো স্বেচ্ছায় উপকূলের কাছে মারা যেতেই এসেছিল, কারণ তারা “দুর্দশায়” ছিল।
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার পৃথিবী ধ্বংসের কথা বলা হয়। সর্বশেষ ছিল মায়া সভ্যতার বর্ষপঞ্জিতে সর্বশেষ মাসের সর্বশেষ দিনটির আগমন । কিন্তু এ দিনগুলো কোন ঘটনা ছাড়াই চলে গিয়েছে। ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কি সেরকমই একটি দিন হবে? নাকি ঘটবে কোন ভিন্ন কিছু?

No comments:

Post a Comment